এই এক বছর আগে মাম শুধু আমার ছিল কিন্তু এখন………এখন সে অন্য কারোর সম্পত্তি । যখন আমার বাড়ি থেকে অপমান করে মাম কে তাড়িয়ে দিয়েছিল তখন মাম কাঁদতে কাঁদতে নিজেকে শেষ করতে গেলে ওর ছোট বেলার বন্ধু শুভম ওকে বাঁচিয়েছিল। সেই খারাপ সময় আমি ওর পাশে থাকতে পারিনি কিন্তু শুভম ওর ভরসা হয়ে উঠেছিল। ওর বাড়ির লোকও শুভম কে খুব পছন্দ করত তাই এক কথায় জোর করেই কোন এক মন্দিরে গিয়ে মাম এর বাবা-মা , মামের সাথে শুভম এর বিয়ে দিয়ে দেয়।
রূপগঞ্জে শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু সস্প্রদায়দের সাথে পুলিশের মত বিনিময়
তাই সেদিনি নাকি তোমার অপারেশন করানো অসমাপ্ত স্বার্থপর গল্প লাগবে। আর তার জন্য চাই দুটো কিডনী। কিন্তু সেই সময় তোমার কিডনীর সাথে মাচিং কোনো কিডনীই মিলছিলো না। সেদিন যদি তোমার অপারেশন না করানো হয় তাহলে নাকী আর তোমাকে বাচাঁনো যাবে না। এই সব কিছু শুনে বিশ্বাস করো আমার তখন মনে হচ্ছিল যে আমার বুকের বাম পাশটায়কেউ ছুরি চালিয়ে দিয়েছে। আমি সব সোনার পর সাথে সাথে সব জায়গায় কিডনীর খোঁজ করি ‘কিন্তু কোথাও কিডনী পাইনি।
স্কুলে কি কি পড়েছিলাম তা আজ সবটা মনে না থাকলেও স্কুল লাইফের কাটানো সেরা মুহূর্ত গুলো আজও স্মৃতির পাতায় তাজা।
স্কুলজীবন শুরু হয় উত্তেজনা নিওয়ে কিন্তু শেষ হয় একরাশ দুঃখ নিয়ে।
এর পরের দুই দিন আমি একটু লুকিয়ে লুকিয়ে থাকলাম। পারতপক্ষে তার সামনে পড়তে চাই না বলে খুব সাবধানে চলাফেরা করতাম। তবে আড়াল থেকে তার উপর ঠিকই নজর রাখতাম। খেয়াল করলাম সে তার সমস্ত কাজের ফাঁকে এদিক-ওদিক তাকিয়ে কি যেন খোঁজেন মাঝে মাঝে। “উনি কি আমাকে খুঁজেন”? এটা ভেবেই আমি শিহরিত হয়ে যাই মনে মনে।
সে বলল ,আপনাদের কি কখনো খুঁজে পাওয়া যায়? আপনারা কে কোথায় থাকেন বুঝাই যায়না”। বলে আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসতে লাগল।
মেয়েটি তার বন্ধু নায়েবকে ফোন করে জানতে চাইলো এই কাজ কে করেছে। নায়েব তাকে যা বলল তা হল “আমি জানি যে ছেলেটি তোমাকে পছন্দ করতো, সে অনেক দিন আগে মারা গিয়াছে। আমি এও জানি তুমি আজকে আমাকে ফোন করেছ কেন? নিশ্চয়ই তার জীবনের সব জানতে চাইবে?
_, নানি আমি এখনো পুরো ডাক্তার হইনি । আমি এখন হাফ ডাক্তার, কয়েক দিন পরে ফুল ডাক্তার হব। তখন আপনার চিকিৎসা আমি করব ইনশাআল্লাহ। কথা শুনে নানী হেসে ওনাকে জড়িয়ে ধরলেন।
নির্বাহী সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান (মিজান)
এটা সত্যি আমরা বন্ধুরা হয়ত একে অপরের কাছে নেই, তবে স্কুল লাইফে বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো আজও আমার স্মৃতিতে আছে।
পরেরদিন আব্বা আমাকে আমার ভাই এবং আম্মাকে নানাবাড়ি মাগুরার বাসে তুলে দিলেন। বিকাল চারটায় নানা বাড়ি পৌঁছে দেখলাম নানি খুবই অসুস্থ। তার স্যালাইন চলছে। মাগুরা থেকে ডাক্তার এসে দিনে ২ বার করে দেখে যান। আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব যে যেখানে ছিল সবাই এসে এসে নানীকে দেখে যাচ্ছে। নানীর সুস্থতার জন্য নানা খতমে ইউনুস পড়াচ্ছেন, সবাই যে যার মতো করে আল্লাহর কাছে নানির সুস্থতার জন্য দোয়া করছে। বাড়ি ভর্তি আত্মীয়স্বজন গমগম করছে, সবারই একটাই চাওয়া আল্লাহর কাছে আল্লাহ যেন আমার নানিকে সুস্থ করে দেন ।
যাও, ওকে এখুনি আমাদের বাসা থেকে বের করে দেও। পুরা পার্টিটাই নষ্ট করে দিল জানোয়ারটা। এখুনি বিদেয় করো এটাকে।
শোন তুই যে রক্তিমকে এতোদিন নানান কথায় অপমান করে এসেছিস! তুই কি কখনো এটা ভেবে দেখেছিস যে সে যদি আসলেই খারাপ হতো তাহলে তোর ওকে এতো অপমান করার সত্ত্বেও ছেড়ে দিতো বল। এটা কি একটি বারের জন্যও ভেবে দেখেছিস। সাথে আরো শোন সেদিন আসলে তোর সাথে ঠিক কি হয়েছিলো। (তারপর দিশার বান্ধবী দিশাকে রক্তিমের সাথে ঘটে যাওয়া সব কিছু খুলে বললো) এবার বুঝলি তো! আসলে ছেলেটার কোনো অপরাধ নেই ‘সে যখনি কারো উপকার করতে গেছে ঠিক তখনি তুই কোনো না কোনো ভাবে ওর সামনে চলে আসিস। আর যার ফলে তুই এতোদিন ওকে ভুল বুঝে আসছিলি। তোবে তকে আজকে আরেরটা না বললেই নয়”তুই যদি এবার এই ছেলেটাকে হারিয়ে ফেলিস না তাহলে আমি বলবো তুই তোর জীবনের সবচেয়ে মহা মূল্যবান জিনিসটাই হারিয়ে ফেলবি। তাই এখনো সময় আছে ওকে হারাতে দিস না। মনে রাখীস জীবনে একবার কোনো দামী জিনিস যদি হারিয়ে ফেলিস তা পরে হাজার চেষ্টা করেও আর ফেরত আনতে পারবি না। এখোন সব কিছু তোর উপরে। তোর যা ভালোমনে হয় এখন তুই তাই করতে পারিস।” আমার মনে হলো কথা গুলো তকে জানানো উচিত তাই জানালাম।
Comments on “ব্যর্থ প্রেমের গল্প এখন আমার এ জীবন - An Overview”